এক অসমাপ্ত কাব্য লিখেছিলাম।
কবিতায় একটা ‘তুমি’ ছিলে,
দূর টেবিলে বসে বিমর্ষ চোখে ট্রান্সপারেন্ট গ্লাসের ভিতর দিয়ে সন্ধ্যার পথ দেখছিলে।
চোখে চিন্তার ভাজ ছিল,
দৃষ্টি ছিল বিষন্ন,
আইডিকার্ডটি পড়া যায়নি,
পড়তে পারিনি আকাশী কালারের রিবনে লেখা তোমার অফিসের নামও।
মোবাইলে কল আসছিল, বার বার সাইলেন্ট করে দিচ্ছিলে ধুমায়িত কফিটার জন্য।
না। কফির জন্য না। হয়ত অনেক কষ্ট ছিল,
চোখের নীচের কালো দাগের ছাপ ছিল।
অনিদ্রা অনাহার হতাশা
সব কিছুর যেন সৃষ্টিশীল উপস্থাপনার বিচ্ছুরণ ছিল।
এক সময় কলটা ধরলে।
ইতিমধ্যে ওয়েটার দুবার বিল চেয়ে গেল।
চোখ ছলছল ছিল কিনা বুঝতে পারিনি।
তবে তোমার ছুটে বের হয়ে যাওয়াটা অগোছালো ছিল।
জানি কখনো দেখা হবেনা।
হলেও হয়ত চিনব না।
প্রতিটা জীবন ভিন্ন ভিন্ন মহাগল্প।
প্রতিটা জীবন নিয়ে কাব্য সাজানো যায়না।
তাই কাব্য হয় মুহূর্তের, বড্ড সংক্ষিপ্ত।
প্রতিটা কাব্য হয়ত তাই সবসময় অসমাপ্ত।
(২০/০৩/২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০ টা)