বলিনি কখনো, বলবো নাতো, আক্ষেপ কত শত!
Hasan Ebna Amin
রক্তের স্রোতে বুঝবি তোরা ক্ষোভ যে অবিরত,
লিখিনি কাব্য, রচিনি গল্প, বহু কষ্টের তিক্ত উপন্যাস,
অশ্রুসিক্ত শ্রমজীবী, আর মধ্যবিত্তের ইতিহাস।
স্বাধীনতা! সেতো মোটর সাইকেলে ঘুরা কিছু শোষকের দোসড়ের!
আর গাড়িতে মোড়ানো, বিলাশে জড়ানো, প্রভু-ভক্ত কুকুরের!
প্রভুরা আছে উচ্চ গগনে, শুনেনি কখনো শোষিতের কান্না।
অবিরত ভাবে, বঞ্চিতের অভিশাপে, ক্ষোভ – বিক্ষোভের বন্যা।
একদিন প্রভু, নিচে নেমে এসে দেখে যাও প্রজারা রয়েছে কি কষ্টে,
বঞ্চনা, ক্ষুধা, বৈষম্য আর যাপিতের তীব্র যন্ত্রণায় পিষ্টে।
ধুঁকছে শিক্ষা, ধুঁকছে সমাজ, ঝুঁকেছে জাতির শিড়দাড়,
ছাত্ররা আজ ভীত, বুকে বাঁজচে ডামাডোল স্বাধীনতার।
চাকুরে… সেতো চাপে নিশ্চুপ, সান্ত্রীর হুংকারে।
একদিন ফুটবে বাক, সব নিয়ম ভেঙ্গে, রাজপথে পাবে তারে।
স্বাধীনতা। সেতো স্বপ্ন ছিল। আজো রয়ে গেছে স্বপ্ন।
স্বাধীনতা! পেয়েছিলাম তারে, প্রতি বারে, রাজা – মহারাজ দ্বারা ক্ষুণ্ণ।
তবু আদ্র চোখের, দগ্ধ বুকের স্বপ্ন, স্বাধীনতা, তোমাকেই পাবার জন্য!
————–
হাসান ইবনে আমিন
